মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয জীবন চলার পথ নির্দেশ বা সরল পথের দিশা। স্রষ্টার সমস্ত নিয়ামত গুরুত্বপূর্ণ ও দামী। কিন্তু হেদায়েত এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এর সামনে আর সকল নিয়ামতের মূল্য মূল্যহীন।
আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সবকিছুই দিয়ে থাকেন। পার্থিব অর্থ-সম্পদ মানুষ অর্জন করতে সক্ষম হয় ভালো ও মন্দ উভয় পথে। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী নির্বিশেষে দুনিয়ার কোনো নিয়ামত থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হয় না। কিন্তু ”সিরাতুল-মুস্তাকিম’ বা সঠিক পথের দিশা পাওয়ার জন্য মানুষকে অনবরত প্রার্থনা করতে হয়। ”সিরাতুল-মুস্তাকিম’ পাওয়ার অর্থ আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ট নিয়ামতের সরোবরে অবগোহণ করা।
মানুষ তার সুন্দর ও সফল জীবন যাপনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি কর্মে আল্লাহ তায়ালার হেদায়েতের মোহতাজ। সকল যুগের সকল পন্ডিতের জ্ঞানের সমষ্টি মানবদেহের জীবনচারণের সকল বিষয়ত দূরের কথা একটি বিষয়েও পথ নির্দেশ প্রদান অসম্ভবের অসম্ভব। সকল কালের সকল বিষয়ের ও সকল মানবের জন্যে স্রষ্টার বিধান ’আল কুরআন’ অবর্তীর্ণ হয়েছে। যাতে বিন্দু বিসর্গ সন্দেহ বা ভুলের কোন লেশমাত্রও নেই। হাজার হাজার বছর থেকে ইহা নির্ভূলতার এক জীবন্ত দলিল হয়ে আছে।
এই কুরআন মানবতার জন্য হেদায়েতের যে মহামূল্যবান দৌলত বা সম্পদ নিয়ে এসেছে উহা বিশেষ দল বা গোষ্ঠির জন্য নয়, বরং বরং উহা জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য। এর অবদান বিশেষ কোন সময় ও কালের গন্ডিতে সীমিত নয়। এটি অবম্যম্ভাবী প্রয়োজন সকল কাল ও জামানার দেয়াল দিয়েছে তুলে।
হেদায়েত অর্থ গন্তব্যের দিকে অনুগ্রহের দ্বারা পথপ্রদর্শন করা। মানুষকে হেদায়েত করতে পারেন শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা। হেদায়েতের প্রথম স্তর হচ্ছে জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও অনুভূতি। যার জ্ঞান নেই তার পক্ষে কোন কিছুই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। আবার শুধু জ্ঞান দ্বারা মানুষ প্রকৃত সত্য উপলব্দি করতে সক্ষম হয় না। জ্ঞান মানুষকে জ্ঞানপাপী করে তুলতে পারে যদি না সেই জ্ঞানকে মানুষ তার বুদ্ধি, বিবেক ও অনুভূতি দিয়ে সঠিক পথে ধাবিত করে। হেদায়েত লাভের জন্য মহান আল্লাহ মানুষকে দান করেছেন জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও অনুভূতি। যার ফলে মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় সত্য ও মিথ্যার মধ্যে তফাৎ নিরূপণ করা। সত্য ও মিথ্যা তথা আলো ও অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে সক্ষম না হলে মানুষ হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পারে না। বিশ্বাসীরা তাই বার বার প্রার্থনা করেন বুদ্ধি, বিবেক ও অনুভূতিকে জাগ্রত করার জন্য। কারণ বুদ্ধি, বিবেক ও অনুভূতি ব্যতিরেকে কারো পক্ষে সরল পথের দিশা পাওয়া সম্ভব নয়।
যাদের মধ্যে সত্যকে গ্রহণ করার মন- মানসিকতা থাকে না তারা হেদায়েতপ্রাপ্ত হতে পারে না। যারা নিজেকে জ্ঞানী মনে করে তারা অন্ধকারকেই আঁকড়ে ধরে থাকে। সত্যের আগমনের পরও তারা সত্যকে গ্রহণ করে না। হেদায়েতের জন্য তাই প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন মন। যারা সুপথে, সরল পথে চলতে চান তাদেরকে পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে সরল পথের অনুসন্ধান করতে হবে। নতুবা সরল পথের দিশা পাওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
মানুষ যখন বুদ্ধি, বিবেক ও অন্তরের অনুভূতির সাহায্যে সত্যকে গ্রহণ করার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় তখনই সে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যেতে থাকে মনজিলে মকসুদের পথে বা অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। মানুষের মধ্যে এমন অনুকূল অবস্থা ও পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে হেদায়েত করে থাকেন। হেদায়েত প্রাপ্তরাই কুরআনের মর্মবানী উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। যারা কুরআনের মর্মবানী উপলব্ধি করতে পারে তারা সে অনুযায়ী তাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারে। এদের পক্ষে কুরআনের হেদায়েত গ্রহণ করা এবং এর উপর আমল করা সহজসাধ্য হয়।
হেদায়েত লাভের এ পক্রিয়া হঠাৎ করে অর্জন করা সম্ভব নয়। হেদায়েত লাভের জন্য মানুষকে সচেষ্ট হতে হবে। সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষ হেদায়েত প্রাপ্ত হয়। সত্য ও সুন্দরকে শুধু জানলে ও বুঝলেই হবে না সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ম মাফিক নিরবিচ্ছন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বাসীরা ক্রমান্বয়ে সরল পথের দিশা পেতে থাকে। নেক আমল মানুষকে হেদায়েত প্রাপ্ত করে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন ”যারা আমার পথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্ঠা করে, আমি তাদেরকে আমার পথে আরো অধিকরত অগ্রসর হওয়ার পথ অবশ্যই দেখিয়ে থাকি।”
অতএব, এটি স্পষ্ট যে, সরল পথের দিশা বা আলোকিত পথের সন্ধান লাভ একটি তাৎক্ষনিক ব্যাপার নয়। অন্ধকার থেকে আলোর পথে, ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হতে মানুষ কামেলে ইনসানিয়াত-এ পোঁছে যেতে পারে। বস্তুত সরল-সঠিক পথের দিশা ছাড়া ইহকালীন ও পরকালীন কোনটিরই সফলতা লাভ করা সম্ভব নয়। মধ্যমপন্থী তারাই যারা সহজ-সরল ও সঠিক পথের অনুসারী। যারা কখনো কোনো কাজে সীমা অতিক্রম করে না। যারা অজ্ঞ, তারা অহংকারী, তারা সীমা লংঘনকারী। এরা হেদায়েতপ্রাপ্ত নয়। সরল পথের সন্ধান লাভ করাই মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। এর ফলে সে প্রকৃত জ্ঞানে জ্ঞানান্বিত হয় এবং সফলতা লাভ করে। সরল পথের সন্ধান পেতে যারা ব্যর্থ হয় তারা ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।
প্রকৃত বিশ্বাসীদের চুড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে তাই সঠিক পথের সন্ধান লাভ করা। মুসলমান বিশ্বাসীগণ তাই প্রতিদিন প্রার্থনায় ”সুরা ফাতিহা” পাঠের মাধ্যমে সঠিক পথের জন্য আল্লাহর দরবারে আকুতি জানিয়ে থাকেন। ”সুরা ফাতিহা” বলা হয়েছে ”উম্মূল কিতাব” বা কুরআনের জননী। বিশ্বাসী ব্যতিরেকে অন্যের পক্ষে সরল পথের দিশা পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে মানুষের ধারণা ও বিশ্বাস পরিষ্কার ও সঠিক না হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে এসে অটল বিশ্বাসে সুস্থির হয়ে না দাঁড়াবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার মন-মগজে ”সিরাতুল-মুস্তাকিম” পাবার আগ্রহ সৃষ্টি হবে না। এ কারণে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর সত্তা, গুণাবলী এবং তাঁর সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক সম্পর্কে পরিষ্কার ও নির্ভূল ধারণার প্রতি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে যারা কিয়ামত বা প্রতিদান দিবসের উপর বিশ্বাসী নয় তারাও সরল পথের দিশা পেতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষের মনে এ সত্যটি প্রতিষ্ঠিত না হবে যে, ইহকালীন জীবনের পরে আরেকটি জীবন আছে এবং পরকালীন অনন্ত জীবনের সফলাতার জন্য তার চেষ্টা ও সংগ্রাম করা দরকার, ততক্ষণ পর্যন্ত সে সহজ-সরল পথের জন্য আগ্রহী হবে না। যখন সে বুঝবে যে, মানব জীবনের পরম পাওয়ার জন্য তাকে সকল প্রকার স্বার্থপরতার ঊর্ধে উঠে সত্য, ন্যায় ও সঠিক পথে চলতে হবে তখনই সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল স. প্রদর্শিত সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে অগ্রসর হবার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টায় ব্রতী হবে।
মানুষ যখন সিরাতুল মুস্তাকিমে চলার জন্য আকুতি অনুভব করে তখন সে প্রকৃতপক্ষে তার প্রতিভা ও যোগ্যতা অনুযায়ী আল্লাহর বিধি-নিষেধের উপরই চলতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে আল্লাহর পথে সে অগ্রসর হতে থাকে। ইসলামের এই পথ দীর্ঘ, তবে সহজ সরল ও নির্ভূল এবং এ কারণেই কল্যাণকর। এ পৃথিবীতে শাস্তি প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব যখন মানবজাতি এ কল্যাণকর পথকে বেছে নেবে অর্থাৎ আল্লাহর নির্ধারিত জীবন ব্যবস্থাকে মানুষ সর্বাঙ্গে গ্রহণ করবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাতের কাছ থেকে সরল সঠিক পথের দিশা খুঁজে নেবে।
বিশ্বাসী মুসলমনরা প্রতিদিন পাঁচবার নামাযের সময় কমপক্ষে সতেরবার মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট এই বলে প্রার্থনা করেন যে, ”হে প্রভূ ! তুমি আমাদের সরল সোজা পথের দিশা দাও।” এ আকুতি ভরা প্রার্থনার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে, প্রতি কর্মে, প্রতি আচরণে আমাদের এমন বিধি ব্যবস্থা শেখাও যা একেবারে নির্ভূল ও খাঁটি। আমরা সেই পথের দিশা পেতে চাই যা ভ্রান্তিহীন। যে পথ অনুসরণ করে আমরা পৌঁছে যেতে পারি কাংখিত গন্তব্যে। যে পথে চলে আমরা সাফল্য ও সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারি। সিরাতুল মুস্তাকিম বা সঠিক পথের দিশা এমন এক মহান নেয়ামত যা পাওয়ার জন্য বিশ্বাসীরা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেন। কারণ সিরাতুল মুস্তাকিমের দিকে পথ নির্দেশই ইহকালীন ও পরকালীন সৌভাগ্যের নিশ্চয়তা বিধানকারী। প্রকৃতপক্ষে সঠিক পথের হেদায়েত হচ্ছে সেই অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হওয়া যা মানুষকে প্রকৃত মানুষে রূপান্তর করতে পারে।
প্রকৃত বিশ্বাসীরা তাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করেন ঃ ”হে আল্লাহ ! আমাদের সরল পথের দিশা দাও এবং সে পথ চিনিয়ে দেবার পর আমাকে সেই পথে অবিচল থাকার শক্তি ও সাহস দাও।” কারণ সরল পথ চেনা এবং সে পথে টিকে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা। আল্লাহর অশেষ রহমত ব্যতিরেকে মানুষের পক্ষে সহজ-সরল ও সঠিক পথ চিনে নেয়া এবং সে পথে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই বিশ্বাসীরা প্রতিদিন বার বার মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট আকুল আকুতি নিয়ে প্রার্থনা করেন, ”তুমি আমাদের পথ দেখাও, আমার সামনে সত্যকে উম্মুক্ত করো, মিথ্যাকে দূরিভূত করো। চাকচিক্যময় এ পৃথিবীর অসংখ্য মত ও পথের মধ্য হতে আমাকে তুমি সেই পথ দেখাও যা আমার চিন্তা ও কর্মকে সাজুয্যপূর্ণ করতে পারে। আমাকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করতে পারে।”
পার্থিব জীবনে শুধু মাত্র নামায, রোযার মাধ্যমেই ইবাদত হয় না। ইবাদত বহুভাবে করতে হয়। যেমন মহাগ্রন্ত আল কুরআন তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যাসমূহের অনুধাবন করা ইবাদতের অংশ। ঠিক একই ভাবে সর্ব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা, নিজের ভূলের জন্য তওবা করা, হালাল উপার্জনের চেষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, প্রতিবেশী ও আত্ত্বীয়-স্বজনদের হক আদায় করা, মানুষকে সৎকাজের আদেশ ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখার চেষ্টা করা, রাসূলের সুন্নাত পালন করা ইত্যাদি সৎকর্মও ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। হেদায়েত বা সরল পথের সন্ধান লাভের জন্য মানুষ এসব সৎকর্মের দ্বারা নিজেকে যোগ্য করে তুলতেই সে হেদায়েত লাভের আশা করতে পারে। হেদায়েতের জন্য ক্রমাগত প্রার্থনার পাশাপাশি নিজেকে যোগ্যরূপে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা না থাকলে আল্লাহর মহান অর্ঘ্য”সিরাতুল মুস্তাকিম” লাভ করা সম্ভব হয় না। মানুষ নেক কাজ যত বেশী করবে ততোবেশী সে হেদায়েতপ্রাপ্ত হতে থাকবে। বস্তুত হেদায়েত হচ্ছে মানুষের জন্য এক মহান উপহার। এ উপহার পাবার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয়, প্রবল ইচ্ছা পোষণ করতে হয়। খাঁটি মনে মহান আল্লাহর দরবারে ক্রমাগত প্রার্থনা করা ছাড়া এ উপহার পাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া অনিচ্ছুক ব্যাক্তি সরল পথের দিশা পেতে পারে না। এটি কারো উপর চাপিয়ে দেয়া যায় না। যারা আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্ত তারা হেদায়েত প্রাপ্ত এবং যারা সৎকর্মশীল তারাই অনুগ্রহপ্রাপ্ত।
অতএব এটি সহজেই বোধগম্য যে হেদায়েত বা সরল পথের দিশা সকল স্তরের মানুষের জন্য প্রয়োজন। যারা সাধনার দ্বারা, সৎকর্মের দ্বারা, ইবাদতের দ্বারা অনেক উচ্চ স্তরের মানুষে পরিণত হয়েছেন তারাও আরো আলোকপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য ”সিরাতুল মুস্তাকিমের” প্রত্যাশী। সাধারণ একজন বিশ্বাসী থেকে শুরু করে নবী-রাসূলগণ পর্যন্ত সকল স্তরের মানুষ এ মহান উপহার ক্রমাগত লাভ করে নিজেকে আরো উন্নত আলোকপ্রাপ্ত তথা কামিয়াব হতে চান। কেননা সরল পথে সন্ধান লাভ করাই সবচেয়ে বড় জ্ঞান ও সর্বাপেক্ষা বড় কামিয়াব।
লেখক তারেক বিন হাম্জা